প্রকাশিত: Mon, Jan 30, 2023 4:15 PM
আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 12:04 AM

অমর একুশে বইমেলার মাঠ পর্যবেক্ষণ

লিটলম্যাগ চত্ত্বরটি স্থায়ী করা হোক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের লেকে ব্যবস্থা করা হোক স্বচ্ছ পানির

রেজা ঘটক, ফেসবুক থেকে: ১. যেসকল লেখক নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন, তাদের বই নিয়ে উৎসব শেষেই পাশের কফি শপে চা-কফি খাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ!

২. এরপর চা-কফি খাওয়া শেষে লিটলম্যাগ চত্বর ক্রোস করার সময় বাজারি-লেখকসহ অসংখ্য নানান কিসিমের গালি বিনা পয়সার খাওয়ার ফ্রি সুযোগ!

৩. যারা লিটলম্যাগের তুর্কি সেনাদের ফ্রি গালি হজম করতে পারবেন না, তারা মনের দুঃখে কানতে কানতে বইমেলায় আর না ঘুরে সরাসরি টিএসসি’র গেট দিয়েই বাড়ি চলে যেতে পারবেন।

৪. কিন্তু যারা লিটলম্যাগের তুর্কি সেনাদের গালি হজম করেই বইমেলায় আরো ঘোরাঘুরি করবেন, তারা খুব কৌশলে নিজেদের পছন্দের প্রকাশনায় গিয়ে আড্ডা দিতে পারবেন। 

৫. শিশুদের জন্য শিশু চত্বর এবছর অমর একুশে বইমেলায় কালী মন্দিরের গেটের ডানদিকে (কালী মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা) দেওয়া হয়েছে। শিশুদের এই চত্বরটি বরং কালী মন্দিরে যাওয়ার রাস্তার বামপাশের অংশজুড়ে বিস্তার করলেই বইমেলাটি আরো আকর্ষণীয় হতো। কালী মন্দিরে যাওয়ার রাস্তার বামপাশে যেসকল প্রকাশনার স্টল বরাদ্দ করা হয়েছে, সেগুলোকে মূল মেলার (উদ্যানের রিং রোড) অংশেই রিসাইজ করা গেলে ভালো হতো।

৬. লিটলম্যাগের জন্য এবছর যে চত্বরটি দেওয়া হয়েছে, এটাকেই প্রতিবছরের জন্য স্থায়ী করা হোক। যদিও আমি সবসময় বাংলা একাডেমির বহেরাতলার লিটলম্যাগ চত্বরকেই বেশি পছন্দ করি।   

৭. কালী মন্দিরকে এবছর অমর একুশে বইমেলার অংশ করায় বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ। বইমেলায় যেহেতু প্রতি বছরের মত এবছরও মসজিদ করা হচ্ছে, অতএব কালী মন্দির বইমেলার অংশ হওয়ার বিষয়টি আমার কাছে ইতিবাচক। 

৮. স্বাধীনতা টাওয়ারকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের লেকে স্বচ্ছ পানির ব্যবস্থা করা হোক। এত সুন্দর একটি জায়গায় অমন নোংরা পানি কিছুতেই কারো চোখেই ভালো লাগার কথা নয়। 

৯. এবছর স্টলের উচ্চতার দিকে বাংলা একাডেমি সজাগ ছিল বলে বইমেলার মাঠে স্টল সজ্জা আরো নান্দনিক হবে বলেই মনে হচ্ছে। 

১০. এবছর বইমেলার লে-আউট ডিজাইনে কলাম এবং রো বেশ দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। 

১১. বইমেলার লে-আউট ডিজাইন করার সময় বইমেলায় আগত জনসংখ্যা ও তাদের বইমেলায় নির্বিঘ্নে বিচরণের ধরনটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের ভিড়কে ছড়িয়ে দেওয়ার পদ্ধতি আরো জোরালোভাবে কার্যকর করতে হবে। এবছরও এই বিষয়টিতে অনেক ঘাটতি রয়েছে। 

১২. অমর একুশে বইমেলা চলাকালীন সময়ে ছুটির দিনে টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য দিন সন্ধ্যার পর (৬টা থেকে ৯টা) এই রাস্তাটি বন্ধ রাখলে ভাল হয়। 

১৩. বইমেলায় আগত গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছবিরহাট গেট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট গেট খোলা রাখতে হবে।